Short Description
চিনি খাবেন না বলেই যে সবেতেই গুড় খাবেন এমনটা কিন্তু নয়। অনেকেই আছেন যাঁরা একেবারেই বিনা মিষ্টি কিছু খেতে পারেন না। তরকারি মিষ্টি ছাড়া অনেকে খেতে পারেন না। তাঁদের জন্যই কিন্তু এই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও গুড়ের পায়েস, পিঠে পুলি, নাড়ু, রসগোল্লা এসবের স্বাদটাই আলাদা। যেগুলো চিনি দিয়ে অত ভালো বানানো যায় না। গুড়ের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন B1, B6,C। এছাড়াও গুড়ের মধ্যে থাকে ফেনোলিক। যা আমাদের হতাশা থেকে দূরে রাখে। স্টেস কমায়, ইমিউনিটি বাড়ায়। তাই এসব দিক থেকে দেখতে গেলে গুড় অনেক বেশি উপকারী। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা চিনির বদলে জাগেরি পাউডার দিয়ে চা খান। তরকারিতে ব্যবহার করুন। কেক বানান। এতে শরীরের ততটাও ক্ষতি হবে না, যেটা চিনিতে হবে।
ঠাণ্ডা কাশির সমস্যা দূর করে: খেজুরের গুড় শুষ্ক কাশি ও ঠাণ্ডা দূর করতে সহায়তা করে, মিউকাস পরিষ্কার করে। এটা হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগা লোকদের জন্য ভালো ঘরোয়া প্রতিকার।
পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ: খেজুরের গুড়ে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের কার্যক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। যা শীতকালের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে থাকা খনিজ উপাদান লৌহ ও ম্যাগনেসিয়াম রক্ত উৎপাদনে ও স্নায়ুক্রিয়া সক্রিয় রাখতে ভূমিকা রাখে।
ওজন কমায়: খেজুরের গুড় উচ্চ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ যা শরীর থেকে পানিভাব কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
শক্তিবর্ধক: শীতকালে ক্লান্তি দেখা দিলে বা শরীর দুর্বল লাগলে গুড় খাওয়া উপকারী। এর কার্বোহাইড্রেইট যৌগ যা সাধারণ চিনির তুলনায় খাবার দ্রুত হজম হতে সহায়তা করে। নিয়মিত এক টুকরা গুড় খাওয়া শক্তি বাড়ায় ও অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে।
মাসিকের ব্যথা কমায়: খেজুরের গুড় প্রাকৃতিক উপায়ে মাসিকজনিত ব্যথা কমায়। এটা দেহে এন্ডোরফিন্স নিঃসরণ করে যা শরীর ভালো রাখে ও পেটের ব্যথা কমায়।
হজম শক্তি বাড়ায়: শীতকালীন অসুস্থতা ও মসলাদার খাবারের কারণে নানা রকমের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। খেজুরের গুড় হজমে সাহায্য করে ও পেটের ব্যথা কমায়। এটা হজম রস সক্রিয় করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সংযোগস্থলের ব্যথা কমায়: খেজুরের গুড় হাড় দৃঢ় করতে সহায়তা করে ও হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা কমায়। এটা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ তাই হাড় শক্ত ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।