Short Description
একাধিক রোগ সারাতে দারুণ কাজে আসে ধনিয়া বীজ। এই মশলাটি ছাড়া বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহদেশীয়দের রান্না যেন আত্মা ছাড়া শরীর। কী তাই না! ঝোল হোক, কী ঝাল; সব কিছুতেই ধনিয়া বীজের অবাধ বিচরণ।
১. ত্বকের রোগ সারায়
একজিমা, চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং প্রদাহ মতো সমস্যা কমাতে দারুণ কাজে আসে ধনিয়া বীজ। একমুঠো ধনিয়া বিজ নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে ফেলুন প্রথমে।
তারপর সেই পেস্ট ক্ষত স্থানে লাগান। দেখবেন অল্প দিনেই ত্বকের রোগ দূরে পালাবে।
২. চুলের বৃদ্ধিতে কাজে লাগে
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই মশলাটি রাখলে চুল পড়া তো কমবেই, সেই সঙ্গে চুল শক্তপোক্তও হবে।
৩. জ্বর-সর্দি-কশি কমায়
ধনিয়া বীজে রয়েছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ফলিক এসিড এবং ভিটামিন সি। এই উপাদানগুলির সবক'টিই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি এমনকী জ্বরের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ধনিয়া বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. হজমক্ষমতা বাড়ায়
হজমে সহায়ক পাচকরসের ক্ষরণে সাহায্য করে ধনিয়া বীজ। ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। তাই যারা বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবারের সঙ্গে অথবা সরাসরি ধনিয়া বীজ খাওয়া শুরু করুন। ভালো ফল পাবেন।
৬. কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ কমায়
ধনিয়া বীজে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে। যে কারণে এই মশলাটি কনজাংটিভাইটিসের পাশাপাশি চোখের বেশ কিছু সমস্যা কমাতে ভালো কাজে আসে।
৭. পিরিয়ড সম্পর্কিত নানা সমস্যা কমায়
এই সময় অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়? তাহলে আজ থেকেই খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এই মশলাটিকে। কারণ ধনিয়া বীজ এই ধরনের সমস্যা কমায়, সেই সঙ্গে পিরিয়ডের যন্ত্রণা হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।